এক সন্ধ্যার চুম্বন
সন্ধ্যা নামছিল ধীরে ধীরে। শহরের কোলাহল একটু কমে এসেছে। রিমঝিম বৃষ্টির শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কফি শপের কর্নার সিটে বসে ছিল অনন্যা আর রাহুল। দু’জনের চোখে চোখ রাখা, হালকা মুচকি হাসি, আর মাঝে মাঝে চায়ের কাপ তুলে নেওয়া—এইসব কিছু যেন এক অদ্ভুত মায়ায় মোড়ানো ছিল।
অনন্যা পরেছিল হালকা গোলাপি সালোয়ার কামিজ, ভেজা চুলগুলো এক পাশে টেনে রেখেছে। রাহুলের চোখ সরে না তার মুখ থেকে। যেন প্রতিটি মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করতে চায়।
"তুমি জানো? তুমি যখন হেসে ওঠো, আমার পৃথিবী থেমে যায়," রাহুল মৃদু স্বরে বলল।
অনন্যা হেসে বলল, "তুমি না, একদম সিনেমার নায়ক হয়ে গেছো আজকাল।"
রাহুল ধীরে ধীরে তার হাত ধরল। অনন্যা একটু লজ্জা পেলেও হাত ছাড়ায়নি। বৃষ্টির শব্দ বেড়ে উঠল, যেন প্রকৃতিও আজ তাদের আরও কাছে আনার ষড়যন্ত্র করছে।
সেই মুহূর্তে, হঠাৎ করে একটা বিদ্যুৎ চমকালো। অনন্যা একটু চমকে রাহুলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। রাহুল ধীরে ধীরে তার মুখের দিকে এগিয়ে গেল। চোখ বন্ধ করে দিল অনন্যা।
সেই চুম্বন—নরম, মৃদু, ভালোবাসায় ভরা। সেটা কোনো শরীরী তৃষ্ণা ছিল না, বরং ছিল আত্মার ছোঁয়া। দু’জনেই বুঝতে পারল, আজকের রাতটা শুধুই তাদের জন্য।
বৃষ্টি থেমে গেল, কিন্তু তাদের ভালোবাসার গল্প শুরু হল আজ থেকে।
0 Comments